প্রশ্ন : ব্রণ বলতে আমরা কী বুঝি?
উত্তর : সাধারণত ছোট ছোট দানা মুখে পিঠে, হাতে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। এগুলোকে ব্রণ বলা হয়। এখন এই ক্ষেত্রে অনেক সময় কতগুলো থাকে অনেক বড়, অনেক সময় থাকে ছোট ছোট, বিভিন্ন আকারের হয়। ব্রণ বলতে আমরা এটাই বুঝি।
প্রশ্ন : সাধারণত কী কী কারণে এই ব্রণ হয়?
উত্তর : এটা আসলে বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সাধারণত তৈলাক্ত ত্বক যাদের তাদের ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিমাণ ব্রণ হয়। এরপর যাদের মাথায় খুশকি আছে, দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে এটা অনেক বেশি। দেখা যাচ্ছে এসব রোগীদের আমরা কপালে, পিঠে এই জায়গাগুলোতে বেশি পেয়ে থাকি। তা ছাড়া দেখা যায়, কোনো কারণে সে যদি কোনো ওষুধ খেয়ে থাকে, বহুদিন বিশেষ করে নারীরা যদি জন্মনিন্ত্রক ওষুধ খেয়ে থাকে, বা ছেলে বা মেয়ে উভয়ই যদি স্টেরয়েড খেয়ে থাকে, বা টিবির জন্য যদি অ্যান্টিটিউবার কুলার ওষুধ সে খেয়ে থাকে, তাহলেও ব্রণ হতে পারে। এরপর দেখা যায় অনেকের হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকে, সেক্ষেত্রেও ব্রণ হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থিতে সমস্যা থাকে, থাইরয়েডের অকার্যকারিতার কারণে ব্রণ হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্রণ আছে, তবে তার অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা চলে আসে। সেই ক্ষেত্রেও ব্রণ হচ্ছে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকে খুব বেশি তৈলাক্ত খাবার খাচ্ছে, অনেকে আছে খুব চকোলেট খাচ্ছে, সারাক্ষণ বাদাম খাচ্ছে, অতিরিক্ত পরিমাণে খায়, তখনো দেখা যাচ্ছে ব্রণ হচ্ছে। আবার কোনো কারণে যদি কেউ খুব মানসিক চাপের মধ্যে থাকে, তাহলে দেখা যায় যদি কারো অল্প থেকে থাকে সেটি বেড়ে যায়। এসব বিভিন্ন কারণে আমরা ব্রণ দেখতে পাই।
প্রশ্ন : এত সব কারণে যে ব্রণ হচ্ছে, এগুলো থেকে মুক্তির উপায় কী?
উত্তর : প্রথমত তাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তার সমস্যাটা তুলে ধরতে হবে। তার যদি ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হয়, আগে তার তৈলাক্তভাবটি কমাতে হবে। ব্রণ তার কম বা বেশি হচ্ছে, সেই অনুযায়ী আমরা তার চিকিৎসা দেব। যদি কম হয়ে থাকে তাহলে শুধু হয়তো মুখে লাগানোর ওষুধ দিয়ে দেব। অনেক বেশি হলে পাশাপাশি তাকে খাওয়া ওষুধ দেব। এ রকম বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। আমাদের যেটা মূল বিষয় সেটা হলো আমাদের আগে কারণটি বের করতে হবে। আমরা যদি কারণ বের না করে শুধু চিকিৎসাই করতে থাকি, তাহলে কোনো লাভ হবে না।
প্রশ্ন : কী কারণে হচ্ছে সেটি বোঝার কি কোনো উপায় রয়েছে?
উত্তর : অবশ্যই আছে। রোগীদের সাথে কথা বলতে হবে। দেখতে হবে, প্রয়োজনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে হবে। যেমন হরমোনের সমস্যাগুলো আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করে বুঝতে পারব না। নারীদের ঋতুস্রাবের ইতিহাস না নিয়ে আমরা বুঝতে পারব না। এই বিষয়গুলো আমাদের জানতে হবে। জেনে তার চিকিৎসা করতে হবে।
দে
পাঠকের মতামত